٨٢٥ عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُولُ الله صلى الله عليه وَسَلَّمَ لَا يُقيمَنْ أَحَدُكُمْ رَجُلاً مِنْ مَجْلسه ثُمَّ يَجْلس فيه ولكن تَوَسُعُوا وَتَفَسِّحُوا وكَانَ ابْنُ عُمَرَ اذَا قَامَ لَهُ رَجُلٌ مِنْ مَجْلسه لم يجلس فيه متفق عليه.
৮২৫। ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: তোমাদের কোন ব্যক্তি যেন কাউকে তার জায়গা থেকে উঠিয়ে দিয়ে নিজে সেখানে না বসে। বরং তোমরা জায়গা বিস্তৃত করে দাও এবং ছড়িয়ে বস। ইবনে উমার (রাঃ)-এর জন্য কোন ব্যক্তি নিজের জায়গা ছেড়ে দিয়ে দাঁড়িয়ে গেলে তিনি তার ছেড়ে দেয়া জায়গায় বসতেন না।
ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
٨٢٦ - وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اذَا قَامَ أَحَدُكُمْ مِنْ مَجْلِس ثُمَّ رَجَعَ إِلَيْهِ فَهُوَ أَحَقُّ به رواه مسلم.
৮২৬। আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কোন ব্যক্তি যদি তার জায়গা ছেড়ে উঠে যাওয়ার পর আবার ফিরে আসে, তাহলে সেই জায়গায় বসার হক তারই সবচেয়ে বেশি। (মুসলিম)
ى اللهُ عَنْهُمَا قَالَ كُنَّا إِذَا آتَيْنَا النَّبِيِّ صَلَّى ۸۲۷- وَعَنْ جَابِرِ بْن سَمُرَةَ رَضِيَ ا اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَلَسَ أَحَدُنَا حَيْثُ يَنْتَهِي - رواه أبو داود والترمذي وقال حديث حسن.
৮২৭। জাবির ইবনে সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সান্নিধ্যে হাযির হতাম তখন আমাদের প্রত্যেকে সেখানে বসে পড়তো যেখানে মজলিসের লোকজনের বসা শেষ হয়েছে।
ইমাম আবু দাউদ ও ইমাম তিরমিযী হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন। ইমাম তিরমিযী এটিকে হাসান হাদীস বলেছেন।
۸۲۸- وَعَنْ أَبِي عَبْدِ اللهِ سَلْمَانَ الْفَارِسِيَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لا يَغْتَسِلُ رَجُلٌ يَومَ الْجُمُعَة وَيَتَطَهُرُ مَا اسْتَطَاعَ مِنْ وَيَدْهِنُ مِنْ دُهْنِهِ أَوْ يَمَسُّ مِنْ طِيْب بَيْتِهِ ثُمَّ يَخْرُجُ فَلَا يُفَرِّقُ بَيْنَ اثْنَيْنِ ثُمَّ يُصَلِى مَا كُتِبَ لَهُ ثُمَّ يُنْصِتُ إِذا تَكَلَّمَ الْإِمَامُ إِلَّا غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الجمعة الأخرى - رواه البخاري.
৮২৮। আবু আবদুল্লাহ সালমান আল ফারসী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে ব্যক্তি জুমু'আর দিন গোসল করে, তার সামর্থ্য অনুযায়ী পাক-পবিত্রতা অর্জন করে এবং তার ঘরে মজুদ তেল মাখে বা খোশবু লাগায়, তারপর ঘর থেকে নামাযের জন্য বের হয় এবং দু'জন লোককে সরিয়ে তার মধ্যে বসে পড়ে না, তারপর নামায পড়ে, যা আল্লাহ তার জন্য নির্ধারিত করে রেখেছেন, অতঃপর ইমামের খুত্বা পড়ার সময় চুপ করে বসে থাকে, আল্লাহ তার সমস্ত গুনাহ, যা সে এক জুমু'আ থেকে অপর জুমু'আর মধ্যবর্তী সময়ে করেছে, মাফ করে দেন।
ইমাম বুখারী এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
۸۲۹ - وَعَنْ عَمْرِو بْن شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ الله صلى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لا يَحِلُّ لِرَجُل أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَ اثْنَيْنِ إلا بإذنهما - رواه أبو داود والترمذي وقال حديث حسن . وفي رِوَايَةٍ لِأَبِي دَاوُدَ لَا يَجْلِسُ بَيْنَ رَجُلين الا باذنهما .
৮২৯। আমর ইবনে শু‘আইব (রাঃ) থেকে পর্যায়ক্রমে তাঁর পিতা এবং তাঁর প্রপিতার সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: দুই ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া তাদের মধ্যে ফাঁক সৃষ্টি করা বৈধ নয়৷
ইমাম আবু দাউদ ও ইমাম তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযী বলেন, এটি হাসান হাদীস। ইমাম আবু দাউদের অপর বর্ণনায় আছেঃ দু'জনের মাঝখানে বসো না, তাদের অনুমতি না নিয়ে।
۸۳۰- وَعَنْ حُذَيْفَةَ بْن الْيَمَانِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ الله صَلَّى اللهُ عَلَيْه وَسَلَّمَ لَعَنَ مَنْ جَلَسَ وَسَط الْحَلْقَةِ - رواه أبو داود بإسناد حــســن . وروى التِّرْمِذِى عَنْ أَبِى مِجْلَرٍ أَنْ رَجُلاً قَعَدَ وَسَطَ حَلْقَةٍ فَقَالَ حُذَيْفَةُ مَلْعُونَ عَلَى لِسَانِ محمد صلى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أوْ لَعَنَ اللهُ عَلى لِسَانِ مُحَمَّدٍ صَلى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ مَنْ جَلَسَ وَسَط الْحَلْقَةِ- قَالَ التِّرْمِدَى حَدِيثُ حَسَنٌ صَحِيحٌ.
৮৩০। হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন ব্যক্তিকে অভিশাপ দিয়েছেন যে মজলিসের মাঝখানে গিয়ে বসে পড়ে। ইমাম আবু দাউদ উত্তম সনদে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন। ইমাম তিরমিযী আবু মিজলায (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন এক ব্যক্তি মজলিসের মাঝখানে বসে পড়লে হুযাইফা (রাঃ) বলেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (এ কাজটির উপর) লানত বর্ষণ করেছেন অথবা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুখ দিয়ে আল্লাহ লানত বর্ষণ করেন সেই ব্যক্তির উপর যে বসে পড়ে মজলিসের মাঝখানে।
ইমাম তিরমিযী বলেন, এটি হাসান হাদীস।
۸۳۱ - وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ خَيْرُ الْمَجَالِسِ أَوْسَعُهَا - رواه أبو داود بإسناد صحيح على شرط البخاري.
৮৩১। আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ বেশি বিস্তৃত ও ছড়ানো মজলিসই হচ্ছে সবচেয়ে ভালো মজলিস।
ইমাম আবু দাউদ ইমাম বুখারীর শর্ত অনুযায়ী সহীহ সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
۸۳۲ - وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ جَلَسَ فِي مَجْلِسٍ فَكَثْرَ فِيهِ لَغَطْهُ فَقَالَ قَبْلَ أَنْ يَقُومَ مِنْ مَجْلِسِهِ ذَلِكَ (سُبْحَانَكَ اللهُم وَبِحَمْدِكَ أَشْهَدُ أَنْ لا إلهَ إِلا أَنْتَ اسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ إِلا غفِرَ لَهُ مَا كَانَ فِى مَجْلِسِهِ ذلك - رواه الترمذي وقال حديث حسن صحيح.
৮৩২। আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে ব্যক্তি কোন মজলিসে বসে এবং তাতে যদি অনেক বেশি অপ্রয়োজনীয় ও বাজে কথা বলা হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে মজলিস থেকে উঠার আগে সে যেন বলে, “হে আল্লাহ! তুমি পাক-পবিত্র, প্রশংসা তোমার জন্য, আমি সাক্ষ্য দিই যে, তুমি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই, আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাই এবং তোমার কাছে তাওবা করি।” তাহলে ঐ মজলিসে যা কিছু হয়েছিল সব মাফ করে দেয়া হয়। ইমাম তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, এটি হাসান ও সহীহ হাদীস।
۸۳۳- وَعَنْ أَبِي بَرْزَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ كَانَ رَسُولُ الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ بِآخَرَةِ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَقُومَ مِنَ الْمَجْلِسِ (سُبْحَانَكَ اللَّهُمْ وَبِحَمْدِكَ أَشْهَدُ أَنْ لا اله الا أنتَ اسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ ِالَيْكَ فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ الله أَنَّكَ لتَقُولُ قَوْلاً مَا كُنتَ تَقُولُهُ فِيْمَا مَضَى قَالَ ذلِكَ كَفَّارَةٌ لِمَا يَكُونُ فِي المَجْلِس - رواه أبو داود . ورواه الحاكم أبو عبد الله في المستدرك من رواية عائشة وقال صحيح الإسناد .
৮৩৩। আবু বারযা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর শেষ বয়সে মজলিস থেকে ওঠার সময় বলতেন: “হে আল্লাহ! আমি তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি তোমার প্রশংসার সাথে। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, তুমি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি এবং তোমার কাছে তাওবা করছি।” এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহ্র রাসূল! আপনি এখন এমন কথা বললেন যা এর আগে কখনো বলেননি। তিনি বলেনঃ এ কথাগুলো হচ্ছে এ মজলিসে (অপ্রয়োজনীয়) যা কিছু হয়েছে তার কাফফারা (প্রতিকার) স্বরূপ।
ইমাম আবু দাউদ এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। আর হাকেম আবু আবদুল্লাহ তাঁর মুসতাদ্রাক গ্রন্থে হযরত আয়িশা (রাঃ) থেকে এটি বর্ণনা করেছেন এবং তিনি এর সনদ সহীহ বলে উল্লেখ করেছেন।
٨٣٤- وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ قَلْمَا كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُومُ مِنْ مَجْلِسٍ حَتَّى يَدْعُو بِهَؤُلَاءِ الدَّعَوَاتِ اللَّهُمْ أَقْسِمُ لَنَا مِنْ خَشْيَتِكَ مَا تَحُولُ بِهِ بَيْنَنَا وَبَيْنَ مَعَاصِيكَ وَمِنْ طَاعَتِكَ مَا تُبَلِغْنَا ا بِهِ جَنَّتَكَ وَمِنَ الْيَقِينِ مَا تُهَوِنُ عَلَيْنَا مَصَائِبَ الدُّنْيَا اللَّهُم مَتِّعْنَا بِأَسْمَاعِنَا وَأَبْصَارِنَا وَقُوتُنَا مَا أَحْيَيْتَنَا وَاجْعَلْهُ الْوَارِثَ مِنَّا وَاجْعَلْ ثَارَنَا عَلَى مَنْ ظَلَمَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى مَنْ عَادَانَا وَلا تَجْعَلْ مُصِيبَتَنَا فِي دِينِنَا وَلَا تَجْعَلِ الدُّنْيَا أَكْبَرَ هَمِّنَا وَلَا مَبْلغَ عِلْمِنَا وَلا تُسَلِّطْ عَلَيْنَا مَنْ لا يَرْحَمُنَا ) رواه الترمذي وقال حديث حسن.
৮৩৪। ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এমন মজলিস খুব কমই ছিল যেখান থেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উঠতেন এবং এই দু'আগুলো পড়তেন নাঃ “হে আল্লাহ! আমাদের মধ্যে তোমার এতটা ভীতি বণ্টন কর যা আমাদের ও তোমার নামফরমানির মাঝখানে অন্তরাল হয়, আমাদেরকে তোমার এতটা আনুগত্য দান কর যা আমাদেরকে তোমার জান্নাতে পৌঁছাবে এবং আমাদেরকে এতটা প্রত্যয় দান কর যা দুনিয়ার বালা-মুসিবাতকে আমাদের জন্য সহজ করে দেয়। হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে যতদিন জীবিত রাখ ততদিন আমাদের শ্রবণশক্তি, দৃষ্টিশক্তি ও অন্যান্য শক্তিকে আমাদের ওয়ারিস বানিয়ে দাও। আমাদের হিংসা ও প্রতিশোধ স্পৃহাকে সেই ব্যক্তি পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রাখ যে আমাদের উপর যুলম করেছে। যে আমাদের সাথে শত্রুতা করে তার বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য কর, দীনের বিপদের মধ্যে আমাদেরকে ফেলে দিয়ো না, দুনিয়াকে আমাদের চিন্তার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করো না এবং যারা আমাদের প্রতি সদয় নয় তাদেরকে আমাদের উপর প্রভাবশালী করো না”।
ইমাম তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, এটি হাসান হাদীস ।
٨٣٥ - وَعَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا مِنْ قَوْمٍ يَقُومُونَ مِنْ مَجْلِس لا يَذْكُرُونَ اللهَ تَعَالَى فِيهِ الأَقَامُوا عَنْ مثلِ جِيْفَةٍ حِمَارٍ وَكَانَ لَهُمْ حَسْرَةٌ - رواه ابو داود باسناد صحيح .
৮৩৫। আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে কোন দলই কোন মজলিস থেকে উঠে যায় এবং তারা আল্লাহ্র নাম স্মরণ করে না, তারা উঠে যায় মরা গাধার মতো এবং তাদের জন্য আক্ষেপ ও লজ্জাই থাকে।
ইমাম আবু দাউদ সহীহ সনদ সহকারে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
٨٣٦ - وَعَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا جَلَسَ قَوْمٌ مَجْلِسًا لَمْ يَذْكُرُوا اللهَ تَعَالَى فِيْهِ وَلَمْ يُصَلُّوا عَلَى نَبِيِّهِمْ فِيهِ إِلا كَانَ عَلَيْهِمْ تِرَةٌ فَإِنْ شَاءَ عَذَبَهُمْ وَإِنْ شَاءَ غَفَرَ لَهُمْ - رواه الترمذي وقال حديث حسن .
৮৩৬। আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: কোন দল যদি কোন মজলিসে বসে সেখানে মহান আল্লাহ্ নাম না নেয় এবং নিজেদের নবীর উপর দরূদ না পড়ে তাহলে এটা তাদের ক্ষতির কারণ হবে। কাজেই আল্লাহ চাইলে তাদের শাস্তি দিতে পারেন, ক্ষমাও করতে পারেন।
ইমাম তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, এটি হাসান হাদীস।
۸۳۷ - وَعَنْهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ قَعَدَ مَقْعَدا لَمْ يَذْكُرِ الله تَعَالَى فِيهِ كَانَتْ عَلَيْهِ مِنَ اللهِ تِرَةٌ وَمَنِ اضْطَجَعَ مَضْجَعًا لَا يَذْكُرُ اللَّهَ تَعَالَى فِيْهِ كَانَتْ عَلَيْهِ مِنَ اللهِ ترَةٌ- رواه ابو داود وَقَدْ سَبَقَ قَرِيبًا وَشَرَحْنَا الترفيه.
৮৩৭। আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন স্থানে বসে মহান আল্লাহ্র নাম স্মরণ করে না সে আল্লাহ্র পক্ষ থেকে ক্ষতির সম্মুখীন হয়। আর যে ব্যক্তি কোন স্থানে শয়ন করে আল্লাহ্ নাম স্মরণ করে না সেও আল্লাহ্র পক্ষ থেকে ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
এ হাদীসগুলো থেকে বুঝা যায়, উঠা-বসায়, শয়নে-জাগরণে, চলা-ফেরায়, যে কোন কাজে, যে কোন সময়ে, যে কোন স্থানে আল্লাহকে স্মরণ করতে হবে। মুসলিম যে একমাত্র আল্লাহ্র বান্দা, আল্লাহ যে তার সমস্ত কর্ম ও প্রাণচাঞ্চল্যের কেন্দ্র একথা তাকে মনে রাখতে হবে। কাজ শুরুর আগে আল্লাহকে স্মরণ করতে হবে। কাজের মাঝখানে আল্লাহকে স্মরণ করতে হবে। কাজের শেষে আল্লাহকে স্মরণ করতে হবে। একটি হাদীসে যে কোন মজলিসে নবীর প্রতি দরূদ পাঠের কথাও বলা হয়েছে। আল্লাহ্ স্মরণ ছাড়া যে কাজটি সে করল বা আল্লাহ্র স্বরণ থেকে গাফিল হয়ে তার যে সময়টি অতিবাহিত হলো সেটা আসলে তার জন্য আক্ষেপ, লজ্জা ও ক্ষতির পসরা বয়ে আনলো। এর সঠিক অর্থ আল্লাহ ভালো জানেন।
ইমাম আবু দাউদ হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন। ইতিপূর্বে একটু আগেই হাদীসটির আলোচনা এসেছে এবং সেখানেই আমরা “তিরাতুন” শব্দটির ব্যাখ্যা করেছি।
১০৪ এ প্রসংগে ৮১৯ নম্বর হাদীস দেখুন।
#মুহাম্মদের_বাণী #ইসলামিক_একাডেমি_এনপি #হে_মুমিনগণ! #ইবনে_মাজাহ #হাদীস_বিশ্ব_নবীর_বাণী #সুনানে_ইবনে_মাজাহ #রিয়াদুস_সালেহীন