#রিয়াদুস_সালেহীন দ্বিতীয় খণ্ড সূচীপত্র


৪৯. মানুষের বাহ্যিক কাজের উপর ধর্মীয় নির্দেশ বাস্তবায়িত হবে; আর তাদের আভ্যন্তরীণ অবস্থা আল্লাহ্র উপর সমর্পিত ৯

৫০. আল্লাহর ভয় ১৩

৫১. আল্লাহ্র উপর আশা-ভরসা ২২

৫২. আল্লাহ্র কাছে আশা ও সুধারণা করার ফযীলাত ৪৩

৫৩. ভয়ভীতি ও আশা ভরসা একত্র হওয়া ৪৪

৫৪. মহান আল্লাহ্র ভয়ে ক্রন্দন করার ফযীলাত ও তাঁর প্রতি আগ্রহ ৪৬

৫৫. পার্থিব জীবনে কৃচ্ছ্রসাধনার (যুহুদ) ফযীলাত, অল্পে তুষ্ট থাকতে উৎসাহদান এবং দারিদ্র্যের ফযীলাত ৫১

৫৬. অনাহারে থাকা, নিরাসক্ত জীবন যাপন, খাদ্য, পানীয় ও পোশাক-আশাকে অল্পে তুষ্টি এবং লালসা ত্যাগের ফযীলাত ৬৮

৫৭. অল্পে তুষ্টি, মুখাপেক্ষীহীনতা, জীবনযাত্রায় ও সংসার খরচে মিতব্যয়ী হওয়া, নিষ্প্রয়োজনে যাচ্‌না করা নিন্দনীয় ৯০

৫৮. বিনা প্রার্থনায় ও নির্লোতে কিছু গ্রহণ করা বৈধ ৯৮

৫৯. নিজ শ্রমে উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহের প্রতি উৎসাহ প্রদান, যাচনা করা থেকে পবিত্র থাকা এবং দান-খয়রাত করার জন্য অগ্রবর্তী হওয়া ৯৮

৬০. আল্লাহর প্রতি আস্থা রেখে কল্যাণকর উৎসসমূহে খরচ করা এবং দানশীলতা ও বদান্যতা ১০০

৬১. কৃপণতা ও ব্যয়কুণ্ঠতা নিষিদ্ধ ১০৯

৬২.ত্যাগ স্বীকার, অন্যকে অগ্রাধিকার প্রদান ও সহমর্মিতা ১০৯

৬৩. পরকালীন জিনিসের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ এবং কল্যাণকর ও বরকতপূর্ণ জিনিস লাভের আগ্রহ পোষণ ১১৩

৬৪. কৃতজ্ঞ ধনীর মর্যাদা। তার পরিচয় এই যে, তিনি ন্যায়সংগতভাবে মাল গ্রহণ করেন এবং আল্লাহ্র নির্দেশিত পথে তা ব্যয় করেন ১১৪

৬৫. মৃত্যু স্মরণ ও আশাকে ক্ষুদ্র রাখা ১১৭

৬৬. পুরুষের জন্য কবর যিয়ারত করা উত্তম এবং যিয়ারতকারী যা বলবে ১২৩

৬৭. বিপদে পড়ে মৃত্যু কামনা করা নিষেধ। তবে দীনদারি বিপর্যস্ত হওয়ার আশংকা করলে তা কামনা করাতে দোষ নেই ১২৪

৬৮. ধার্মিকতা অবলম্বন এবং সন্দেহমূলক জিনিস পরিহার করা সম্পর্কে ১২৬

৬৯. যুগের বিপর্যয় ও মানুষের অনিষ্ট থেকে আত্মরক্ষার্থে নিঃসঙ্গ জীবন যাপন উত্তম। ধর্ম পালনে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হওয়া, হারাম ও সন্দেহযুক্ত বিষয় ইত্যাদিতে জড়িয়ে পড়ার আশংকা ১৩০

৭০. জনসাধারণের সাথে ওঠা-বসা ও মেলামেশা করা, তাদের সভা-সমিতিতে ও উত্তম বৈঠকাদিতে হাযির হওয়া, রোগীকে দেখতে যাওয়া, জানাযায় শরীক হওয়া, অভাবীর সাহায্যে এগিয়ে আসা, অজ্ঞদের সঠিক পথ প্রদর্শন, সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখা, অন্যকে কষ্ট না দেয়া এবং কষ্ট পেয়েও ধৈর্যধারণ ইত্যাদির ফযীলাত ১৩২

৭১. মুসলিমদের সাথে বিনয় ও নম্রতা সুলভ ব্যবহার করা ১৩৩

৭২. অহংকার ও অহমিকা হারাম ১৩৭

৭৩. সচ্চরিত্র সম্পর্কে ১৪১

৭৪. সহনশীলতা, ধীর-স্থিরতা ও কোমলতা ১৪৫

৭৫. ক্ষমা প্রদর্শন ও অজ্ঞ-মূর্খদের সযত্নে এড়িয়ে চলা ১৪৯

৭৬. কষ্ট-যাতনার মুখে সহনশীল হওয়া ১৫২

৭৭. শরী'আতের মর্যাদাপূর্ণ বিধান লংঘনের বেলায় অসন্তোষ প্রকাশ এবং আল্লাহ্র দীনের খাতিরে প্রতিশোধ গ্রহণ ১৫৩

৭৮. জনগণের সাথে শাসক কাজেকর্মে নম্রতা অবলম্বন করবে, তাদেরকে ভালোবাসবে, তাদেরকে সদুপদেশ দেবে এবং তাদেরকে প্রতারিত করবে না, কঠোরতা করবে না, তাদের কল্যাণ সাধনে ও প্রয়োজন পূরণে অমনোযোগী হবে না ১৫৬

৭৯. ন্যায়পরায়ণ শাসক ১৫৯

৮০. শাসকের পাপযুক্ত নির্দেশের আনুগত্য করা ওয়াজিব এবং তাদের পাপাচারী নির্দেশের আনুগত্য করা হারাম ১৬১

৮১. রাষ্ট্রীয় পদ প্রার্থনা নিষিদ্ধ। উক্ত পদের জন্য মনোনীত না হলে বা তার প্রতি মুখাপেক্ষী না হলে তা পরিহার করা উচিৎ ১৬৬

৮২.শাসক ও বিচারক প্রমুখকে সরকারী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উত্তম সভাসদ নিয়োগের জন্য উৎসাহ প্রদান এবং নিকৃষ্ট সভাসদ গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্কীকরণ ১৬৭

৮৩. যে লোক কোন সরকারী পদ, বিচারকের পদ ইত্যাদির প্রার্থী বা আকাঙ্ক্ষী হয়ে নিজেকে পেশ করে, তাকে উক্ত পদে নিয়োগ দান নিষিদ্ধ ১৬৮

কিতাবুল আদাব 

(শিষ্টাচার)


১. লজ্জাশীলতা ও তার মাহাত্ম্য এবং তা সৃষ্টির জন্য উৎসাহ প্রদান ১৬৯

২.  গোপন বিষয় প্রকাশ না করা ১৭০

৩. ওয়াদা প্রতিশ্রুতি পালন করা ১৭৪

৪. কোন উত্তম কাজে অভ্যস্ত হয়ে গেলে তা পরিত্যাগ না করে বরং সব সময় করা ১৭৬

৫. সাক্ষাতে হাসিমুখে কথা বলা ও কোমল ব্যবহার করা ১৭৭

৬. শ্রোতা সঠিকভাবে বুঝতে না পারলে তার বুঝার সুবিধার্থে বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করা উত্তম ১৭৮

৭. সংগীর কথা অপর সংগীগণ মনোযোগ দিয়ে শুনবে যদি তা গর্হিত কথা না হয় এবং উপদেশ দেয়ার উদ্দেশে উপদেশদানকারী কর্তৃক উপস্থিত শ্রোতাদের নীরব করা ১৭৯ 

৮. ওয়াজ-নসীহত করা ও তাতে মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা ১৭৯

৯. ভাব-গাম্ভীর্য ও প্রশান্ত অবস্থা ১৮২

১০. নামায, জ্ঞানার্জন ও যাবতীয় ইবাদাতে ধীরে-সুস্থে ও গাম্ভীর্যের সাথে আসবে ১৮২ 

১১. মেহমানের তাযীম ও সাদর অভ্যর্থনা ১৮৩

১২. উত্তম কর্মের জন্য সুসংবাদ ও মুবারকবাদ দেয়া ১৮৫

১৩. বন্ধুকে বিদায় দেয়া, বিদায়কালে তাকে উপদেশ দেয়া, তার জন্য দু'আ করা এবং তার কাছে দু'আ চাওয়া ১৯৩

১৪. ইস্তিখারা ও পরামর্শ সম্পর্কে ১৯৭

১৫. ঈদগাহ, রোগী দেখা, হজ্জ, জিহাদ, জানাযার নামায ও অনুরূপ কাজে এক পথে যাওয়া এবং অন্য পথে প্রত্যাবর্তন মুস্তাহাব ১৯৮

১৬. সকল উত্তম কাজ ডান থেকে শুরু করা মুস্তাহাব ১৯৯

কিতাব আদাবিত তাআম

(পানাহারের নিয়ম-কানুন)


১. পানাহারের শুরুতে বিসমিল্লাহ এবং শেষে আলহামদু লিল্লাহ বলা ২০৩ 

২. খাদ্যের মধ্যে ছিদ্রান্বেষণ না করা ও খাদ্যের প্রশংসা করা ২০৭

৩. রোযাদারের সামনে খাবার এলে এবং সে রোযা ভাংতে না চাইলে যা বলবে ২০৭

৪. যাকে দাওয়াত দেয়া হয় তার সাথে আরেকজন শামিল হলে যা বলতে হবে ২০৭

৫. নিজের নিকটবর্তী খাদ্য থেকে খাওয়া এবং যে লোক আহারের নিয়ম-কানুন জানে না তাকে তা শিখানো ২০৮

৬. সংগীদের অনুমতি ছাড়া দুই খেজুর ইত্যাদি এক গ্রাসে খাওয়া নিষেধ ২০৯

৭. কোন ব্যক্তি আহার করে তৃপ্ত না হলে কী করবে বা কী বলবে ২০৯

৮. পাত্রের একপাশ থেকে খাওয়ার নির্দেশ এবং মাঝখান থেকে খাওয়া নিষেধ ২১০ 

৯. হেলান দিয়ে আহার করা মাকরূহ ২১১

১০. তিন আংগুলে খাদ্য গ্রহণ, খাদ্যের পাত্র চেটে খাওয়া ইত্যাদি ২১১

১১. আহারে অধিক সংখ্যক হাতের সমাবেশ হওয়া, সবাই একত্রে খাওয়ার মাহাত্ম্য ২১৪ 

১২. পানি পান করার নিয়ম-কানুন ২১৪

১৩. মশক ইত্যাদির মুখে মুখ লাগিয়ে পানি পান করা মাকরূহ এবং তা মাকরূহ তানযীহ, মাকরূহ তাহরীম নয় ২১৬

১৪. পানীয়তে নিঃশ্বাস ফেলা মাকরূহ ২১৭

১৫. দাঁড়িয়ে পানি পান করা জায়েয, তবে বসে পান করা উত্তম ও পূর্ণ (তৃপ্তিদায়ক) ২১৮ 

১৬. যে পান করায় তার সবশেষে পান করাই উত্তম ২১৯

১৭. সকল প্রকার পাক পাত্রে পান করা জায়েয ২২০

কিতাবুল লিবাস 

(পোশাক-পরিচ্ছদ)


১. সাদা কাপড় পরা উত্তম; লাল, সবুজ, হলুদ ও কালো রংয়ের কাপড় পড়াও জায়েয। রেশম ব্যতীত সুতী, উল, পশমী ইত্যাদি যাবতীয় কাপড় পরিধান করা জায়েয ২২৩

২. জামা পরা মুস্তাহাব ২২৭

৩. জামা ও আস্তিনের দৈর্ঘ্যের বর্ণনা ২২৭

৪. বিনয় ও নম্রতা প্রকাশার্থে উত্তম পোশাক পরিহার করা মুস্তাহাৰ ২৩৪

৫. পোশাক-পরিচ্ছদে মিতব্যয়িতা অবলম্বন করা মুস্তাহাব। নিষ্প্রয়োজনে ও শরী'আতের চাহিদা ব্যতীত তুচ্ছ পোশাক পরিধান করবে না ২৩৫

৬. পুরুষের জন্য রেশমের কাপড় ব্যবহার, তাতে বসা বা হেলান দেয়া হারাম। মহিলাদের জন্য তা পরিধান করা বৈধ ২৩৫

৭. চর্মরোগের কারণে রেশম বস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি ২৩৭

৮. বাঘের চামড়ায় বসা ও তার উপর সওয়ার হওয়া নিষেধ ২৩৭

৯. নতুন কাপড়, জুতা ইত্যাদি পরিধান করার সময় যা বলবে ২৩৮

১০. পরিচ্ছদ পরতে ডান দিক থেকে শুরু করা ২৩৮

কিতাব আদাবি নাওম

(ঘুমানোর আদব-কায়দা)


১. ঘুম, কাত হয়ে শোয়া, বসা, বৈঠকাদিতে একত্রে বসার আদব-কায়দা ও স্বপ্ন ২৩৯

২. সতর উন্মুক্ত হয়ে যাওয়ার আশংকা না থাকলে এক পায়ের উপর অপর পা তুলে চিৎ হয়ে শোয়া বৈধ। চার জানু হয়ে বসা এবং দুই হাঁটু উঁচু করে বসাও বৈধ ২৪১

৩. মজলিস ও একত্রে বসার আদব ২৪৩

৪. স্বপ্ন ও এর সাথে সম্পর্কিত বিষয়াবলী ২৪৮

সালামের আদান-প্রদান,


১. সালামের মাহাত্ম্য এবং তার ব্যাপক প্রসারের নির্দেশ ২৫২

২. সালাম আদান-প্রদানের পদ্ধতি ২৫৫

৩. সালামের নিয়ম-পদ্ধতি ২৫৮

৪. কারো সাথে বারবার সাক্ষাত হলে তাকে বারবার সালাম করা মুস্তাহাব। যেমন, কারো কাছে গিয়ে ফিরে আসা হল, সংগে সংগে আবার যাওয়া হল অথবা দু'জনের মধ্যে গাছের বা অন্য কিছুর আড়াল সৃষ্টি হল ২৫৯

৫. ঘরে প্রবেশ করার সময় সালাম করা মুস্তাহাব ২৬০

৬. শিশু-কিশোরদের সালাম করা ২৬০

৭. স্বামীর স্ত্রীকে সালাম করা, মাহরাম নারীদের সালাম করা এবং অনাচারের আশংকা না থাকলে অপরিচিতা নারীদের সালাম করা। একই শর্তে নারীদের পুরুষদের সালাম করা ২৬১

৮. কাফিরকে প্রথমে সালাম করা হারাম এবং তাদেরকে জবাব দেবার পদ্ধতি। যে মজলিসে মুসলমান ও কাফের উভয়ই থাকে সেখানে সালাম করা মুস্তাহাব ২৬২

৯. কোন মজলিস বা সাথী থেকে বিদায় নেবার জন্য দাঁড়িয়ে সালাম করা মুস্তাহাব ২৬৩

১০. অনুমতি প্রার্থনা ও তার নিয়ম ২৬৩

১১. যদি অনুমতিপ্রার্থীকে জিজ্ঞেস করা হয়, তুমি কে, তবে সুন্নাত পদ্ধতি হচ্ছে- এর জবাবে যেন সে বলে: আমি অমুক, সে যেন নিজের নাম বা ডাকনাম ইত্যাদি বলে এবং যেন 'আমি' বা এ ধরনের অস্পষ্ট কিছু না বলে ২৬৫

১২. হাঁচিদাতা আলহামদু লিল্লাহ বললে তার জবাব দেয়া মুস্তাহাব এবং আলহামদু লিল্লাহ না বললে জবাব দেয়া মাকরূহ। আর হাঁচি দেয়া, হাঁচির জবাব দেয়া ও হাই তোলার নিয়ম ২৬৭

১৩. কারো সাথে সাক্ষাতের সময় মুসাফাহ করা এবং হাসিমুখে মিলিত হওয়া, নেক লোকের হাতে চুমা দেয়া, নিজের ছেলেকে সস্নেহে চুমা দেয়া এবং সফর থেকে প্রত্যাবর্তনকারীর সাথে গলাগলি করা মুস্তাহাব কিন্তু মাথা নোয়ানো মাকরূহ ২৬৯

#মুহাম্মদের_বাণী #ইসলামিক_একাডেমি_এনপি #হে_মুমিনগণ! #ইবনে_মাজাহ  #হাদীস_বিশ্ব_নবীর_বাণী  #সুনানে_ইবনে_মাজাহ #রিয়াদুস_সালেহীন


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)