قَالَ اللهُ تَعَالَى : وأَوْفُوا بِالْعَهْدِ إِنَّ الْعَهْدَ كَانَ مَسْؤُولاً.
মহান আল্লাহ বলেন:
“তোমরা ওয়াদা-প্রতিশ্রুতি পূর্ণ কর। নিশ্চয় প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে (তোমাদেরকে) জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।” (সূরা বনী ইসরাঈল : ৩৪)
وَقَالَ تَعَالَى : وَأَوْفُوا بعهد الله إذا عَاهَدْتُمْ
“তোমরা আল্লাহ্র নামে যখন ওয়াদা কর তা যেন পূর্ণ কর ।” (সূরা আন্ নাহল : ৯১)
وَقَالَ تَعَالَى : يَايُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَوْفُوا بِالْعُقُود.
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদের চুক্তিসমূহ পালন কর।” (সূরা আল মা-ইদাঃ ১)
لمَ تَقُولُونَ مَا لا تَفْعَلُونَ . كَبُرَ مَقْتًا عِنْدَ الله وَقَالَ تَعَالَى : يَأَيُّهَا الَّذِينَ أمَنُوا لِمَ تَقُولُونَ . أَنْ تَقُولُوا مَا لَا تَفْعَلُونَ.
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা যা কর না তা কেন বল । তোমরা যা কর না তা বলা আল্লাহ্র নিকট অত্যন্ত অসন্তোষজনক।” (সূরা আস সাফঃ ২-৩)
٦٨٩ - عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أيَةُ الْمُنَافِقِ ثَلَاثَ إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ وَإِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ- متفق عليه زادَ فِي رِوَايَةٍ لِمُسْلِم وَاِنْ صَامَ وَصَلَّى وَزَعَمَ أنَّهُ مُسْلِمٌ .
৬৮৯। আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ মুনাফিকের আলামত তিনটিঃ (১) যখন কথা বলে মিথ্যা বলে, (২) যখন ওয়াদা করে তা ভঙ্গ করে এবং (৩) তার নিকট যখন আমানাত রাখা হয় সে তার খিয়ানাত করে। ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। মুসলিমের এক বর্ণনায় আরো রয়েছে, যদিও সে রোযা রাখে, নামায পড়ে এবং নিজেকে মুসলিম মনে করে।
٦٩٠ - وَعَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَرْبَعَ مَنْ كُنْ فِيْهِ كَانَ مُنَافِعًا خَالِصًا وَمَنْ كَانَتْ فِيْهِ خَصْلَةٌ مِّنْهُنَّ كَانَتْ فيه خَصْلَةٌ مِنَ النِّفَاقَ حَتَّى يَدَعَهَا إِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ وَإِذَا حدثَ كَذَبَ وَإِذا عَاهَدَ غَدَرَ وإِذا خَاصَمَ فَجَرَ - متفق عليه .
৬৯০। আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : যার মধ্যে চারটি দোষ পাওয়া যাবে সে নিরেট মুনাফিক। যার মাঝে চারটির কোন একটি পাওয়া যাবে তার মধ্যে মুনাফেকীর একটি খালত আছে, যেই পর্যন্ত না সে তা বর্জন করে। সেগুলো হলঃ (১) তার নিকট আমানাত রাখা হলে সে তার খিয়ানাত করে; (২) সে কথা বললে মিথ্যা বলে (৩) সে ওয়াদা করলে তা ভংগ করে এবং (৪) সে ঝগড়ায় লিপ্ত হলে অশ্লিল গালি-গালাজ করে। (বুখারি ও মুসলিম)
٦٩١ - وَعَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ لِى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَو قَدْ جَاءَ مَالُ الْبَحْرَيْنِ أعْطَيْتُكَ هَكَذَا وَهَكَذَا وَهَكَذَا فَلَمْ يَجِيُّ مَالُ الْبَحْرَيْنِ حَتَّى قبضَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا جَاءَ مَالُ الْبَحْرَيْنِ أَمَرَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَنَادَى مَنْ كَانَ لَهُ عِنْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِدَةٌ أَوْ دَيْنٌ فَلْيَاتِنَا فَاتَيْتُهُ وَقُلْتُ لَهُ انَّ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِي كَذَا وَكَذَا فَحَتَّى لِي حَتْيَةٌ فَعَدَدْتُهَا فَإِذَا هِيَ خَمْسُ مِائَةٍ فَقَالَ لِي خُذْ مِثْلَيْهَا - متفق عليه.
৬৯১। জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন : বাহরাইন থেকে মাল এসে গেলে আমি তোমাকে এই পরিমাণ এই পরিমাণ ও এই পরিমাণ দেব। অর্থাৎ তিনবার লওয়ার প্রতি ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। ইমাম বুখারীর এক রিওয়ায়াতে রয়েছে, তিনবার হাত প্রসারিত করেছিলেন।
কিন্তু বাহরাইন থেকে মাল আসার আগেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তিকাল করেন। অতঃপর বাহরাইন থেকে মাল এসে গেলে আবু বাক্ (রাঃ) নির্দেশ দিলে ঘোষণাকারী ডেকে বলেন, যার সাথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কোন ওয়াদা রয়েছে অথবা তার নিকট ঋণের পাওনা রয়েছে সে যেন আমাদের নিকট আসে। আমি আবু বাক্ (রাঃ)-এর নিকট এসে বললাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এই এই (দেবেন) বলেছিলেন। তখন আবু বাক্ (রাঃ) আমাকে হাতের আঁজলা ভর্তি করে দিলেন। আমি তা গুণে দেখি পাঁচশ' (দিরহাম)। তারপর আবু বাক্ব (রাঃ) আমাকে বললেন, এর দ্বিগুণ নিয়ে নাও। (বুখারী, মুসলিম)
#মুহাম্মদের_বাণী #ইসলামিক_একাডেমি_এনপি #হে_মুমিনগণ! #ইবনে_মাজাহ #হাদীস_বিশ্ব_নবীর_বাণী #সুনানে_ইবনে_মাজাহ #রিয়াদুস_সালেহীন