قَالَ اللهُ تَعَالَى : انَّ اللهَ يَأْمُرُ بالعَدْل والاحْسَان وَقَالَ تَعَالَى : وَأَقْسِطُوا إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُقْسِطِينَ
মহান আল্লাহ বলেন:
“আল্লাহ ন্যায়পরায়ণতা ও সদাচরণের নির্দেশ দিচ্ছেন।” (সূরা আন্ নাহলঃ ৯০)।
“তোমরা সুবিচার করো। নিশ্চয় আল্লাহ সুবিচারকারীদেরকে ভালোবাসেন।” (সূরা আল হুজুরাতঃ ৯)
٦٥٩ - وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ سَبْعَةٌ يُظلهم الله في ظله يوم لا ظل إلا ظله امَامُ عَادِل وَشَابٌ نَشَأَ فِي عِبَادَةِ اللهِ تَعَالَى وَرَجُلٌ قَلْبُهُ مُعَلَقٌ فِي الْمَسَاجِدِ وَرَجُلانِ تَحَابًا فِي اللهِ اجْتَمَعَا عَلَيْهِ وَتَفَرِّقَا عَلَيْهِ وَرَجُلٌ دَعَتْهُ امْرَأَةٌ ذاتُ مَنصِب وجَمَالٍ فَقَالَ إِنِّي أَخَافُ اللَّهَ وَرَجُلٌ تَصَدِّقَ بِصَدَقَةٍ فَأَخْفَاهَا حَتَّى لا تَعْلَمَ شِمَالُهُ مَا تَنْفِقُ يَمِينُهُ وَرَجُلٌ ذَكَرَ الله خَالِيًا فَفَاضَتْ عَيْنَاهُ- متفق عليه
৬৫৯। আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: সাত শ্রেণীর লোককে আল্লাহ সেই কঠিন দিনে তাঁর আরশের ছায়ায় আশ্রয় দান করবেন যেদিন তাঁর আরশের ছায়া ছাড়া আর কোন ছায়াই থাকবে না। তারা হচ্ছে:
(১) ন্যায়পরায়ণ শাসক;
(২) যে যুবক আল্লাহ তাআলার ইবাদাতে মশগুল;
(৩) যে ব্যক্তির অন্তর মসজিদের সাথে সংযুক্ত থাকে;
(৪) যে দুই ব্যক্তি আল্লাহ্র জন্য পরস্পরকে ভালোবাসে, আল্লাহ্ই জন্য তারা মিলিত হয় এবং আল্লাহ্র জন্য পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়;
(৫) ঐ লোক যাকে অভিজাত বংশীয় কোন সুন্দরী রমণী আহ্বান করে (খারাপ কাজের), কিন্তু সে বলে, আমি আল্লাহকে ভয় করি;
(৬) লোক যে গোপনে দান করে, এমনকি তার ডান হাত কী দান করেছে তা তার বাম হাত জানে না এবং
(৭) যে লোক একাকী নিভৃতে আল্লাহকে স্মরণ করে দু'চোখে অশ্রু ঝরায়। (বুখারী
٦٦٠ - وَعَنْ عَبْدِ اللهِ عَمرو بن الْعَاصِ رَضيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُولُ الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ الْمُقْسِطِينَ عِنْدَ اللَّهِ عَلَى مَنَابِرَ مِنْ نُوْرِ الَّذِينَ يَعْدِلُونَ في حكمهم وأَهْلِيْهِمْ وَمَا وَلوا - رواه مسلم .
৬৬০। আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: নিশ্চয় ন্যায়বিচারকগণ আল্লাহ্র নিকট নূরের মিম্বারে আসন গ্রহণ করবে, যারা তাদের বিচার ফায়সালার ক্ষেত্রে পরিবার-পরিজনের ব্যাপারে এবং যেসব দায়দায়িত্ব তাদের উপর অর্পিত করা হয় সেসব বিষয়ে সুবিচার করে। (মুসলিম)
٦٦١ - وَعَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ خِيَارُ انْمِّتِكُمُ الَّذِينَ تُحِبُّونَهُمْ وَيُحِبُّونَكُمْ وَتُصَلُّونَ عَلَيْهِمْ وَيُصَلُّونَ عَلَيْكُمْ وَشِرَارُ أَئِمَّتِكُمُ الَّذِينَ تُبْغِضُونَهُمْ وَيُبْغِضُونَكُمْ وَتَلْعَنُونَهُم وَيَلْعَنُونَكُمْ قَالَ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللهِ أَفَلَا تُنَا بِدُهُمْ قَالَ لَا مَا أَقَامُوا فِيكُمُ الصَّلاةَ لا مَا أَقَامُوا فيكُمُ الصَّلاةَ - رواه مسلم.
৬৬১। আওফ ইবনে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের মধ্যে উত্তম শাসক ও ইমাম ভারা যাদেরকে তোমরা ভালোবাস এবং তারাও তোমাদেরকে ভালোবাসে। তোমরা তাদের জন্য দু'আ কর এবং তারাও তোমাদের জন্য দু'আ করে। অপরদিকে তোমাদের মধ্যে মন্দ ও নিকৃষ্ট শাসক তারা যাদেরকে তোমরা ঘৃণা কর এবং তারাও তোমাদেরকে ঘৃণা করে, তোমরা তাদের প্রতি অভিসম্পাত কর এবং তারাও তোমাদের প্রতি অভিসম্পাত করে। রাবী বলেন, আমরা বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা কি তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকব না। তিনি বলেন: না যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তোমাদের মধ্যে নামায কায়েম করবে। (মুসলিম)
٦٦٢ - وَعَنْ عِيَاضٍ بُنِ حِمَارٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ أَهْلُ الْجَنَّةِ ثَلَاثَةَ ذُو سُلْطَانٍ مُقْسِطُ مُوَفَّقٌ وَرَجُلٌ رَحِيمٌ رَقِيقُ الْقَلْبِ لِكُلِّ ذِى قُرْبَى وَمُسْلِمٍ وَعَفِيفٌ مُتَعَقِفٌ ذُو عِبَال- رواه مسلم .
৬৬২। ইয়াদ ইবনে হিমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ জান্নাতের অধিকারী হবে তিন শ্রেণীর লোকঃ (১) ন্যায়পরায়ণ শাসক, যাকে তাওফিক দান করা হয়েছে (দান-খয়রাত করার ও জনগণের কল্যাণ সাধন করার);
(২) দয়ার্দ্র হৃদয় ও রহমদিল ব্যক্তি যার অন্তর প্রত্যেক আত্মীয়-স্বজন ও মুসলিম ভাইয়ের প্রতি অতিশয় কোমল ও নরম এবং
(৩) যে ব্যক্তি শরীর ও মনের দিক থেকে পূতপবিত্র, নিষ্কলুষ চরিত্রের অধিকারী ও পরিবার বেষ্টিত। (মুসলিম)
