قَالَ اللهُ تَعَالَى : وَمَنْ يُعْظِمْ شَعَائِرَ اللهِ فَإِنَّهَا مِنْ تَقْوَى الْقُلُوبِ.
মহান আল্লাহ বলেন:
“যে ব্যক্তি আল্লাহ্ দীনের নিদর্শনসমূহের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে, এটা তো অন্তরের তাকওয়া ।” (সূরা আল হজ্জ : ৩২)
٧٠٤ - وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ إذا أقيمت الصَّلاةُ فَلا تَأْتُوهَا وَأَنْتُمْ تَسْعَوْنَ وَأَتُوهَا وَأَنْتُمْ مْشُونَ وَعَلَيْكُمُ السِّكِينَةَ فَمَا أَدْرَكْتُمْ فَصَلُّوا وَمَا فَاتَكُمْ فَأَتِمُّوا - متفق عليه. زَادَ مُسلِمٌ فِي رِوَايَةٍ لَهُ فَإِنْ أَحَدَكُم إِذَا كَانَ يَعْمِدُ إِلَى الصَّلاةِ فَهُوَ فِي صَلَاةٍ.
৭০৪। আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি : নামাযের ইকামাত হয়ে গেলে তোমরা নামাযের জামা'আতে শামিল হওয়ার উদ্দেশ্যে দৌড়ে এসো না, বরং ধীরস্থিরভাবে নিশ্চিন্তে হেঁটে এসো। (জামা'আতের সাথে) তোমরা যত রাআত পাও তা পড়ে নাও এবং যেটুকু না পাও তা শেষে পূর্ণ করে নাও ৷
ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম মুসলিমের অপর বর্ণনায় আরো আছেঃ তোমাদের কেউ যখন নামায পড়ার সংকল্প করে, তখন থেকেই সে নামাযের মধ্যে আছে।
٧٠٥ - وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّهُ دَفَعَ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ عَرَفَةَ فَسَمِعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَاثَهُ زَجْرًا شَدِيدًا وَضَرْبًا وَصَوْتًا للايلِ فَأَشَارَ بِسَوْطِهِ إِلَيْهِمْ وَقَالَ أَيُّهَا النَّاسُ عَلَيْكُمْ بِالسِّكِينَةَ فَإِنَّ الْبِرِّ ليس بالإيضاع - رواه البخاري وروى مسلم بعضه .
৭০৫। ইবনুল আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। আরাফাতের দিন তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে যাচ্ছিলেন। পেছনের দিকে নবী (সাঃ) উটকে সজোরে হাঁকানোর ও মারার উচ্চ আওয়ায এবং শোরগোল শুনতে পেলেন। তিনি তাদের প্রতি নিজের চাবুক নেড়ে ইশারায় বলেন : হে লোকেরা! তোমাদের জন্য শান্তশিষ্টভাবে চলা অপরিহার্য। তাড়াহুড়া করা ও দ্রুত চলাতে কোন কল্যাণ নেই।
ইমাম বুখারী এটা রিওয়ায়াত করেছেন। এর অংশবিশেষ ইমাম মুসলিমও বর্ণনা করেছেন।
