#রিয়াদুস_সালেহীন ১ম খণ্ড অনুচ্ছেদঃ ৪৬, আল্লাহর উদ্দেশে ভালোবাসার ফযীলাত এবং তার জন্য প্রেরণাদান। কেউ কাউকে ভালোবাসলে তাকে তা অবহিত করা এবং অবহিত করার পন্থা।

Muhammads words
0

قَالَ اللهُ تَعَالَى : مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللهِ وَالَّذِينَ مَعَهُ أَشِدَّاءُ عَلَى الْكُفَّارِ رُحَمَاءُ بَيْنَهُمْ إِلَى آخِرِ السُّورَة .


মহান আল্লাহ বলেন :

“মুহাম্মাদ আল্লাহ্র রাসূল। তার সহচরগণ কাফিরদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর; (কিন্তু) নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি রহমদিল। তুমি তাদের দেখতে পাবে আল্লাহ্র অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় রুকূ ও সিজদাবনত অবস্থায়। সিজদার কারণে এসব বন্দেগীর চিহ্ন তাদের মুখমণ্ডলে পরিস্ফুট থাকবে। তাদের গুণাবলীর কথা তাওরাতে ও ইনজীলে বিদ্যমান। তাদের দৃষ্টান্তঃ একটি চারাগাছ, প্রথমে সে তার অংকুর বের করলো, অতঃপর তাকে শক্তিশালী করলো, অতঃপর হৃষ্টপুষ্ট হলো, 

অতঃপর নিজের কাণ্ডের উপর দাঁড়িয়ে গেলো। যেন তাদের (এই উন্নতির) দ্বারা কাফিরদের (হিংসার আগুনে পুড়িয়ে দেয়। যারা ঈমান এনেছে ও নেক কাজ করেছে আল্লাহ তাদের ক্ষমা ও মহা প্রতিদানের ওয়াদা করেছেন । (সূরা আল-ফাতহ : ২৯)


وَقَالَ تَعَالَى : وَالَّذِينَ تَبَوِّمُوا الدَّارَ وَالْإِيْمَانَ مِنْ قَبْلِهِمْ يُحِبُّونَ مَنْ هَاجَرَ إِلَيْهِمْ.


“আর যারা দারুল ইসলামে (মদীনায়) ও ঈমানের মধ্যে তাদের (মুহাজিরদের আসার পূর্ব থেকেই অটল রয়েছে, যারা তাদের কাছে হিজরাত করে আসা লোকদেরকে ভালোবাসে।” (সূরা আল-হাশর : ৯)


٣٧٥ عَنْ أَنَس رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ ثَلَاثَ مَنْ كُنْ فِيْهِ وَجَدَ بِهِنَّ حَلَاوَةَ الْإِيْمَانِ أَنْ يَكُونَ اللهُ وَرَسُولُهُ أَحَبُّ إِلَيْهِ مِمَّا سِوَاهُمَا. وأن يُحبُّ الْمَرْة لا يُحبُّه إلا لله وأنْ يُكْرَة أَنْ يَعُودَ فِي الْكُفْرِ بَعْدَ أَنْ أَنْقَذَهُ اللهُ مِنْهُ كَمَا يَكْرَهُ أَنْ يُقْذَفَ فِي النَّارِ مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ


৩৭৫ । আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : যার মধ্যে তিনটি গুণ বিদ্যমান সে ঈমানের স্বাদ পেয়েছে। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে সবচাইতে বেশি ভালোবাসে, যে কোন ব্যক্তিকে একমাত্র আল্লাহ্র সন্তুষ্টির জন্য ভালোবাসে এবং আল্লাহ তাকে কুফরের যে অন্ধকার থেকে বের করেছেন, সেই কুফরের দিকে ফিরে যাওয়াকে এরূপ অপছন্দ করে, যেরূপ অপছন্দ করে আগুনের মধ্যে নিক্ষিপ্ত হতে । -ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ।


٣٧٦ - عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ سَبْعَةٌ يُظِلُّهُمُ الله في ظلِهِ يَوْمَ لا ظل الا ظلهُ إِمَامٌ عَادِلٌ وَشَابٌ نَشَأُ فِي عِبَادَةِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ وَرَجُلٌ قَلْبُهُ مُعَلقَ بِالْمَسَاجِدِ وَرَجُلانِ تَحَابًا فِي اللَّهِ اجْتَمَعَا عَلَيْهِ وَتَفَرقَا عَلَيْهِ وَرَجُلٌ دَعَتْهُ امْرَأَةٌ ذاتُ حُسن وجَمَالَ فَقَالَ إِنِّي أَخَافُ اللَّهَ وَرَجُلٌ تَصَدِّقَ بِصَدَقَةٍ فَأَخْفَاهَا حَتَّى لَا تَعْلَمَ شِمَالُهُ مَا تُنْفِقُ يَمِيْنُهُ وَرَجُلٌ ذَكَرَ اللَّهَ خَالِيًا فَفَاضَتْ عَيْنَاهُ مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ .


৩৭৬। আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত । নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ সাত শ্রেণীর লোককে সেদিন আল্লাহ তাঁর আরশের ছায়াতলে স্থান দেবেন, যেদিন তাঁর আরশের ছায়া ছাড়া আর কোন ছায়াই থাকবে না : 

(১) ন্যায়পরায়ণ ইমাম বা শাসক; 

(২) মহান ও পরাক্রমশালী আল্লাহ্র ইবাদাতে মশগুল যুবক; 

(৩) মসজিদের সাথে সম্পৃক্ত হৃদয়ের অধিকারী ব্যক্তি; 

(৪) এমন দু'জন লোক যারা একমাত্র আল্লাহ্ জন্য পরস্পরকে ভালোবাসে। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশে তারা বন্ধুত্বে আবদ্ধ হয় আবার আল্লাহ্র সন্তুষ্টির জন্যই বিচ্ছিন্ন হয়; 

(৫) এরূপ লোক, যাকে কোন রূপসী-সুন্দরী নারী ব্যভিচারের প্রতি আহ্বান করে, কিন্তু সে বলে আমি আল্লাহকে ভয় করি; 

(৬) যে ব্যক্তি অত্যন্ত গোপনভাবে দান করে, এমনকি তার ডান হাত যা কিছু দান করে, তার বাম হাতও তা জানতে পারে না; 

(৭) যে ব্যক্তি নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং তার দু'চোখ থেকে অশ্রু ঝরতে থাকে ।

ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন।


۳۷۷- وَعتُهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَقُولُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ابْنَ الْمُتَحَابُونَ بِجَلالِى ؟ الْيَوْمَ أَظِلُّهُمْ فِي ظَلَى يَوْمَ لا ظل إلا ظلى -رواه مسلم.


৩৭৭। আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ কিয়ামাতের দিন বলবেন : কোথায় তারা যারা আমার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশে পরস্পর ভালোবাসা স্থাপন করেছিল, আজ আমি তাদেরকে আমার সুশীতল ছায়াতলে স্থান দেব, আজ আমার ছায়া ছাড়া আর কোন ছায়া নেই। ইমাম মুসলিম এ হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন।


۲۷۸ - وَعَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لا تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ حَتَّى تُؤْمِنُوا وَلَا تُؤْمِنُوا حَتَّى تَحَابُوا أَولَا أَدْلُّكُمْ عَلَى شَيْءٍ إِذا فَعَلْتُمُوهُ تَحَابَيْتُمْ ؟ أفشوا السلامَ بَيْنَكُمْ - رَوَاهُ مُسلِمٌ .


৩৭৮। আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যাঁর হাতে আমার প্রাণ তাঁর শপথ! তোমরা ঈমানদার না হওয়া পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না, আর তোমরা পরস্পর ভালোবাসা স্থাপন না করা পর্যন্ত ঈমানদার হতে পারবে না। আমি কি তোমাদের এমন একটি কাজের কথা বলে দেব না যা করলে তোমরা পরস্পরকে ভালোবাসতে পারবে? তোমরা তোমাদের মধ্যে সালামের প্রসার ঘটাও।

ইমাম মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।


٣٧٩ - وَعَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ رَجُلاً زَارَ أَخَا لَهُ فِي قَرْيَةٍ أخرى فَارْصَدَ اللهُ عَلَى مَدْرَجَتِهِ مَلَكًا وَذَكَرَ الْحَدِيث إِلَى قَوْلِهِ إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَحَبَّكَ كَمَا أَحْبَيتَهُ فِيهِ - رَوَاهُ مُسْلِمٌ وَقَدْ سَبَقَ بِالْبَابِ قَبْلَهُ .


৩৭৯। আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : জনৈক ব্যক্তি তার এক (মুসলিম) ভাইয়ের সাথে সাক্ষাতের জন্য অন্য গ্রামে রওয়ানা হয়। পথে আল্লাহ তার জন্য অপেক্ষা করার উদ্দেশে একজন ফেরেশতা বসিয়ে দেন । অতঃপর তিনি এই কথা পর্যন্ত হাদীস বর্ণনা করেনঃ (ফেরেশতা তাকে বলেন) “নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাকে এরূপ ভালোবাসেন, যেরূপ তুমি আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশে অমুক ব্যক্তিকে ভালোবাস।”

ইমাম মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।


٣٨٠ عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ فِي الْأَنْصَارِ لا يُحِبُّهُمْ إِلا مُؤْمِنٌ وَلَا يُبْغِضُهُمْ إِلَّا مُنَافِقٌ مَنْ أَحَبَّهُمْ أَحَبَّهُ اللهُ وَمَنْ أَبْغَضَهُمْ أَبْغَضَهُ اللهُ مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ


৩৮০। বারাআ ইবনে আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনসারদের সম্পর্কে বলেনঃ ঈমানদাররাই তাদেরকে (আনসারদেরকে) ভালোবাসে; আর মুনাফিকরাই তাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে। যে ব্যক্তি তাদেরকে ভালোবাসে আল্লাহ্ তাকে ভালোবাসেন এবং যে ব্যক্তি তাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে আল্লাহ্ও তার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করেন (অর্থাৎ এর শাস্তি দেন)।

ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।


۳۸۱ - عَنْ مُعَادٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلُ الْمُتَحَابُّونَ فى جَلالى لَهُمْ مَنَابِرُ مِنْ نُورٍ يَغْبِطُهُمُ النبيُّونَ وَالشُّهَدَاءُ - رَوَاهُ التَّرْمِذِيُّ وَقَالَ حَدِيثُ حَسَنٌ صَحِيحٌ


৩৮১। মু'আয (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ মহা সম্মানিত পরাক্রমশালী আল্লাহ বলেন : আমার সন্তুষ্টির উদ্দেশে যারা পরস্পরকে ভালোবাসে, তাদের জন্য (আখিরাতে) থাকবে নূরের মিম্বার (মঞ্চ) এবং নবীগণ ও শহীদগণ তাদের প্রতি ঈর্ষা করবেন। (গিবতা অর্থ ঈর্ষা অর্থাৎ অপরের ভালো বা সদগুণ দেখে নিজের মধ্যে তা সৃষ্টি হওয়ার কামনা করা । এ ধরনের গিবতা বৈধ)।

ইমাম তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং বলেন, হাদীসটি হাসান ও সহীহ।


۳۸۲ - عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيِّ رَحِمَهُ اللهُ قَالَ دَخَلْتُ مَسْجِدَ دِمَشْقَ فَإِذَا فَتَّى بَرَاقُ الثَّنَايَا وإذا النَّاسُ مَعَهُ فَاذَا اخْتَلَفُوا فِى شَيْ أَسْنَدُوهُ إِلَيْهِ وَصَدَرُوا عَنْ رَيهِ فَسَأَلْتُ عَنْهُ فَقِيْلَ هَذَا مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَلَمَّا كَانَ مِنَ الْغَدِ هَجَرْتُ فَوَجَدْتُهُ قَدْ سَبَقَنِي بِالتَّهْجِيْرِ وَوَجَدْتُهُ يُصَلِى فَانْتَظَرْتُهُ حَتَّى قَضَى صَلَاتَهُ ثُمَّ جِئْتُهُ مِنْ قِبَلِ وَجْهِهِ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ ثُمَّ قُلْتُ وَاللَّهِ إِنِّي لَأَحِبُّكَ لِلَّهِ فَقَالَ الله؟ فَقُلْتُ الله فقال الله؟ فَقُلْتُ الله فَأَخَذني بحبْوَة رِدَانِي فَجَبَدَنِي إِلَيْهِ فَقَالَ أبْشَرْ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى وَجَبَتْ محبتِي لِلْمُتَحَاتِينَ فِي وَالْمُتَجَالِسِيْنَ فِي وَالْمُتَرَاوِرِينَ فِي وَالْمُتَبَادَلِينَ فِي صَحِيحٌ رَوَاهُ مَالِكَ فِي الْمُوَطَأَ بِاسْنَادِهِ الصَّحِيحِ قَوْلُهُ هَجَرْتُ تَقُولُ اللَّهُمَّ أَعِنِّى عَلَى ذِكْرِكَ وَشَكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ حَدِيثُ صَحِيحٌ رَوَاهُ أَبُو داود والنِّسَانى باسْنَادِ صَحيح .


৩৮৪। মু'আয (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার হাত ধরে বলেনঃ হে মু'আয! আল্লাহ্র শপথ, নিশ্চয়ই আমি তোমাকে ভালোবাসি। অতঃপর তোমাকে উপদেশ দিচ্ছি, হে মু'আয! তুমি প্রত্যেক নামাযের পর অবশ্যি এ দো'আ পড়বে : “আল্লাহুম্মা আইন্নী আলা যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ইবাদাতিকা” 

(হে আল্লাহ! তোমার স্মরণে, কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনে ও উত্তমরূপে তোমার ইবাদাত করণে আমাকে সাহায্য কর)।”

এটি সহীহ হাদীস, আবু দাউদ ও নাসাঈ সহীহ সনদে এটি বর্ণনা করেছেন ।


۳۸۵ - عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَجُلاً كَانَ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَرٌ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ الله إني لأحب هذا فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الأَعْلَمْتَهُ؟ قَالَ لا قَالَ أعْلِمْهُ فَلَحِقَهُ فَقَالَ إِنِّي أُحِبُّكَ فِي اللهِ فَقَالَ أَحَبُّكَ الذي أخبيتَنى لَهُ - رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ باشنَادٍ صحيح .


৩৮৫। আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। জনৈক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পাশে উপস্থিত ছিল। এমন সময় আর এক ব্যক্তি তাঁকে অতিক্রম করে যাচ্ছিল। সে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি লোকটাকে ভালোবাসি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কি তাকে তা অবহিত করেছ? সে বলল, না। তিনি বলেনঃ তাকে অবহিত কর । সুতরাং সে তার সাথে সাক্ষাত করে বলল, নিশ্চয়ই আমি তোমাকে আল্লাহ্র সন্তুষ্টির আশায় ভালোবাসি। সে বলল, তিনি (আল্লাহ) তোমাকে ভালোবাসুন, যাঁর জন্য তুমি আমাকে ভালোবাসো।


সহীহ সনদসহ এ হাদীসটি আবু দাউদ বর্ণনা করেন ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
3/related/default